একাল, সেকাল ও ইসলামের দূরত্ব !!
hive-190212·@iftekhar·
0.000 HBDএকাল, সেকাল ও ইসলামের দূরত্ব !!
সময়ের পায়ে ভর করে এগিয়ে চলছে আমাদের জীবন। যেখানে আমাদের নিজস্ব কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই ভাল কাজ করার জন্য ভাল সময়ের অপেক্ষা করলেও আমাদের ভাল সময় এর হয়ে উঠেনা। তাই এই বিরতিহীন সময়ের কাছে আমাদের মনের পরাজয় ঘটে বারবার। তাই ভাল কাজের আশা জিয়িয়ে রাখতে নেই। যখন যে ভাল কাজটা করতে ইচ্ছে করে সেটার জন্য সাথে সাথেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। একবার ভাবুন তো আপনার আমার বাপচাচারা কি করেছে আর আমরা কি করছি ? আমারা দেখেছি বাবা তার বোনকে দেখতে যেতে ৯ কিলোমিটার পথ পারি দিয়েছেন। এত পথ তবুও তার কোন ক্লান্তি লাগেনি। বোনকে দেখে সে খুশিমনে আবার পায়ে হেটে ফিরে এসেছেন। আজ আমরা কি করছি ? প্রযুক্তি আমাদের এতটা ব্যস্ত বানিয়ে ফেলেছে যে আমরা বছর একবারও বোন, খালা, ফুপিকে দেখতে যেতে পারিনা। অথচ হেটে কোন পথ পারি দিতে হয়না। ইসলাম কি বলে, আল্লাহ্ কোরআনে ও তার রাসুল (সাঃ) আত্মীয়তার সাথে সম্পর্কের কথা, তাদের দেখতে যাওয়া নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। সেসব কথা পড়লে আমরা খুব সহজে দেখতে পাই যে, মনের অজান্তে আমরা ইসলাম থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছি।  অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাওয়া অনেক ফযিলতের কাজ। কিন্ত আমরা এখন এমন সমাজ ব্যবস্থা গঠন করেছি যে, কেউ অসুস্থ হলে তাকে আর দেখতে যেতে চাইনা। কেননা, আমাদের দেশে এখন প্রচলন হয়ে গেছে যে, রোগী দেখতে যাওয়ার সময় অবশ্যই কিনে নিয়ে যেতে হবে তা না হলে ইজ্জত থাকবেনা। এই খরচের ভয়ে এখন আর কেউ অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রোগীর জন্য কিছু নিয়ে যাওয়া খুবই ভাল কাজ। কিন্ত যার সামর্থ্য নেই তাকেও নিতে হবে এমন তো কোন রীতিনীতি চালু করা উচিত নয়। অথচ আমরা সেই কাজ চালু করেছি , নিজেদের ভেতর অহংকার সৃষ্টি করে ইসলামকে দূরে ঠেলে দিচ্ছি। বিসর্জন দিচ্ছি সামাজিক মানবতার মূল্যবোধ।  কিভাবে যে আমরা নতুন নতুন কালচারে নিজেদের জড়িয়ে নিচ্ছি যেটা আমরা নিজেরাও বুঝতেছি না। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বিয়ের নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে দেখতাম খুব সামান্য সামান্য উপহার নিয়ে পুরো পরিবার বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসতো। চারদিন পাঁচ দিন বেড়িয়ে তারপর বিয়ে বাড়ি থেকে যেত। তখন মানুষের মনে সঙ্কীর্ণতা ছিলনা। খাবার দাবারের মান তত ভাল না হলেও মানুষের ভিতের খুশি ছিল। কিন্ত আমাদের এই সময় এসে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি ? গরিব মানুষ তো দূরের কথা কোন মধ্যবিত্ত পরিবারও যদি বিয়ের দাওয়াতে কথা শুনে তাহলে ভয়ে আতকে উঠে। কারণ বিয়ের দাওয়াত মানেই হল মাথায় উপহারের বোঝা। এই বোঝার দুঃস্বপ্নে গরিবের ঘুম হারাম হয়ে যায়। অবশেষে কখনো কখনো ঋণ করে সেই বিয়ের নিমন্ত্রণে হাজির হতে হয়। অথচ ইসলাম কতনা সহজ ছিল আমাদের কাছে। আমরা তাকে দূরে ঠেলে দিয়ে জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছি। আসুন আমরা সামাজিক মূল্যবোধ কে কাজে লাগিয়ে নিজের গায়ের অহংকারের চাঁদর ফেলে দিয়ে মানুষের জন্য আগের মত সমাজ তৈরি করি । ভুল হলে মাফ করবেন। [প্রথম ছবির সোর্স](https://www.facebook.com/BanglaisIamic/posts/1857224214305649/) [দ্বিতীয় ছবির সোর্স](https://naribarta.com/archives/299)