অসহায় বাবার আর্তনাদ
hive-190212·@sppriya·
0.000 HBDঅসহায় বাবার আর্তনাদ
<div class="text-justify"><i> আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহ সুপ্রিয় বন্ধুরা আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছো। আমিও আল্লাহর অশেষ দয়ায় ভালো আছি। দোয়া করি আল্লাহ যেন সবাইকে সুস্থ রাখে ভালো রাখে। আজকে আমি আবার আসলাম আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য। আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আমাকে সাপোর্ট করবেন এবং পাশে থেকে নতুন কিছু করার জন্য উৎসাহ দেবেন। <hr> <hr> মনির চাচা, তিনি আমার সম্পর্কের বা আত্মীয় তার কিছু না হলেও ক্ষুদ্র পরিচয়ে ও বয়সে বড় হওয়ায় তাকে আমি চাচা বলে ডাকি। এই চাচা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকায় হকারি ব্যবসা করে আসছেন। বিগত 10 থেকে 12 বছর যাবত উনাকে আমরা চিনি। উনি আমাদের পার্শ্ববর্তী বাজারের ঘর ভাড়া করে থাকেন এবং খেটে খাওয়া দিন মজুরের কাজ করেন। উনার কাজের পেশা হচ্ছে উনি পুরাতন লোহা,তামা ,পিতল এমনকি টিন জাতীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে নিয়ে, বড় দোকানে বিক্রি করেন।<hr> <hr> অনেক আগ থেকেই চাচার সাথে আমাদের সম্পর্ক। অনেক দিন আগের কথা, আমাদের বাড়ির পুরাতন ঘর ভাঙ্গার কারণে কিছু খারাপ জিনিসপত্র ও মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। যেগুলো বিক্রি করার জন্য আমরা একজন হকারের অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ দেখি এক দিন এই চাচা বাড়ির দরজায় এসে ডাকতেছেন কারো যদি কোন পুরাতন মালামাল বিক্রি করার থাকে তাহলে বিক্রি করার জন্য তখন আমরা বাড়ির দরজায় গিয়ে উনার সাথে দরদাম করে আমাদের পুরাতন জিনিস গুলো বিক্রি করে দিন। ঐদিন উনার অনেক কথা আমাদের খুব ভালো লাগে। তখন থেকেই ওনার সাথে আমাদের একটা পরিচয় সম্পর্ক তৈরি হয়, যার কারণে আমরা ওনাকে চাচা বলে ডাকি ।<hr> <hr> এই চাচার বাড়ি আমাদের এলাকায় না, অনার গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে। এখানে যদি আমি চাচার গ্রামের বাড়ি কোন জেলার নাম উল্লেখ করে তাহলে কিছুটা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আমি ওনার এলাকার নাম এখানে উল্লেখ করলাম না। চাচা আগে গ্রামের বাড়িতে কৃষি কাজ করতো এবং বিভিন্ন সৃজনে কিছু ফলের ব্যবসা করত। এলাকায় কিছু সাময়িক সমস্যা দেখা দেওয়ার কারনে তিনি গ্রামের বাড়ি ছেড়ে এখানে চলে আসেন এসে কিছুদিন হকারি করে বিভিন্ন প্লাস্টিকের মালামাল বিক্রি করতেন। দেখলেন যে এই ব্যবসা থেকে পুরাতন মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যে ব্যবসা ভালো তাই তিনি এ ব্যবসায় মনোনিবেশ করলেন এবং জড়িয়ে গেলেন এই ব্যবসার সাথে। চাচার পরিবারে 5 জন সদস্য উনার স্ত্রী, তিন মেয়ে এবং ছোট একটা ছেলে। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এবং ছোট মেয়ে ছোট ছেলে স্কুলে পড়াশোনা করতেছে। বড় মেয়েদের কে বিয়ে দিতে গিয়ে তিনি অনেকটা চাপে পড়ে যান অর্থনৈতিক। অনেক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মূলত তিনি এই ভিন্ন ভাষায় চলে আসেন। প্রায় সময় মেয়েদের শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্ন জিনিসপত্র ও আর্থিক সহযোগিতা করা লাগে মেয়ের জামাইকে । প্রায় সময়ই বড় মেয়ের জামাই বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন ভাবে টাকার জন্য মেয়েকে চাপ দিতে থাকে। বড় জামাই এর এই সমস্যাটা দেখে এখন মেজ মেয়ের জামাই ও বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এখন আমি দুটো মেয়ে জামাইকে নিয়ে অনেকটা ঝামেলার মধ্যে আছি ছোট মেয়েটার বিয়ের উপযুক্ত কিন্তু এখন আর আগের মত সাহস পাচ্ছিনা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য না জানি ছোট মেয়ের জামাই তাদের মত হয়ে যায়। এদিকে আমার ছেলেটাও ছোট যদি তারা আয় রোজগার করার মতো বয়স হতো। তবে সে আমাকে কিছুটা সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করত। সব মিলিয়ে এখন আমিও তো অসহায় এর মধ্যে আছি। সব মিলিয়ে দেখা গেল চাচা এখন অনেকটা অসহায় অবস্থায় আছেন নিজের পরিবার এবং মেয়েদেরকে নিয়ে। চাইলেও তিনি সময় মত নিজের বাড়িতে যেতে পারেন না বিভিন্ন সমস্যা ও দেনার দায়ে। এলাকায় তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ঋণ নেওয়ায় বর্তমানের ঋণ এবং সুদের টাকা সহ অনেক টাকা হয়ে গেছে যা ওনার পক্ষে পরিশোধ করা অনেকটা কষ্টসাধ্য। এদিকে অনেক ছোট মেয়েকে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত। যদি কখনো কোনো ভালো সম্বন্ধ আসে তখন মেয়েকে দিতে হবে তার জন্য টাকার প্রয়োজন এখন এত টাকা জোগাড় করা ও সংসার চালানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আরো বলতেছেন এখন আর আগের মতো বেশি করে কাজ করতে পারিনা। পরাশক্তি অনেকটা কমে গেছে বিভিন্ন শারীরিক সুস্থতায় ভুগতেছি। আরো পরে করো না পরিস্থিতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা সংকোচিত হয়ে এসেছে যার ফলে আয়-রোজগার অনেকটা কমে গেছে আগের মতো এখন আর ইনকাম হয় না। সব মিলিয়ে একটা অসহায় অবস্থায় আছি। সবাই চাচার জন্য দোয়া করবেন। চাচা যেন তারা সমস্যাগুলো কাটিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন, এই কথা ব্যক্ত করে আজকে আমি আপনাদের থেকে এখানে বিদায় নিলাম, সবাই চাচার জন্য দোয়া করবেন। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন নিরাপদ থাকার চেষ্টা করবেন আজ এই পর্যন্ত। আল্লাহ হাফেজ।</div></i> # <i>ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা @Sppriya</i>