আহা কত দিনের স্বপ্ন তাকে নিয়ে প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যাবে। রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিবে সাথে চলবে কিছু খাওয়া দাওয়া। অনেক প্লান পরিকল্পনা তাকে নিয়ে। আজ সুযোগ এসেছে মিস করার প্রশ্নই আসে না। বেরিয়ে পরলো সর্ব প্রথম তাকে নিয়ে নদী ভ্রমনে। জেলেদের মাছ ধরা নৌকা অনেক জোরাজুরি করে একশত টাকা দিয়ে ভাড়া নিল এক ঘন্টার জন্য। নিজেই বৈঠা নেরে ভালোবাসার যাত্রা শুরু করে দিল। কয়েকটি পদ্ম ছিরে এক হাঁটু গেরে তার দিকে পদ্মগুলো বাড়িয়ে আকাশ বাতাশ নদীর বহমান স্রোতকে স্বাক্ষী রেখে চিৎকার করে বলছিল আই লাভ ইউ। তার এই লাভ ইউ বলাটা হয়তো প্রকৃতির সহ্য হয় নিই। আকাশ রীতি মত মন খারাপ করেছে। ঘন মেঘে ঢেকে যাচ্ছিল আকাশ। ঝড় বাতাস বইছে। নৌকা ঢেউয়ের কারনে একটু বেশিই দুলাদুলি করতে করতে এক সময় পরে গেল পানিতে। সে তো ডুবে যাচ্ছে তাকে বাঁচাতেই হবে। বলেই এক লাফ দিল পানিতে। পানিতে লাফ দিলেও পাথরের মত শক্ত অনুভব করলো। কিন্তু সেদিকে পাত্তা দিল না। মোহাব্বাত কি খাতির রিস্ক লেনেই পারহেগা। সাঁতার কাটিয়ে তাকে বাঁচাতেই হবে। 

হটাৎ ঝারুর মাইর খেয়ে ধরপরিয়ে উঠে দেখে ঝারু হাতে মা দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণের জন্য স্মৃতিশক্তি লোভ পেয়েছিল তার। পরক্ষনে সে নিজেকে আবিষ্কার করলো খাট হতে নিচে মেঝের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। কব্জি পানিতে ডুবিয়ে লুঙ্গি আর শরীর ভিজে একাকার অবস্থা। শেষে সেখানেই বসে আহাম্মকের ন্যায় ভাবতে থাকলো আহা এটা কি ছিল। নদীর পানিতে সাতরানোর সময় হাত পায়ের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত করে ফেলেছে। 

গত রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল মুষুল ধারে। যেই সেই বৃষ্টি না। প্রচন্ড গতি নিয়ে আছরে পরছিল বৃষ্টির অজস্র ফোটা টিনের ছাদে। বৃষ্টির আছারের ঝনঝনানি শব্দে মাতাল হয়ে হেনার কথা ভাবতে ভাবতে গত রাতে কখন ঘুমিয়ে পরেছে টেরই পায় নিই। এদিকে টিনের ফুটো দিয়ে পানি গরিয়ে বিছানা বালিস সব একাকার। 

সকালটি তার আর ভালো না গেলেও সকালের খিচুড়ি আর ভুনা গোস্ত সব কিছুই ভূলিয়ে দিল। পাঞ্জাবী আর জিন্স প্যান্ট পরে পারফিউম মেরে বার হল বাসা থেকে। একটু পার্ট নিয়ে চোখে সানগ্লাস দিয়ে রিক্সায় উঠে কইলো চল মামা। গত রাতের বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের বেহাল দোষা।হাঁটু পানি জলাবদ্ধতার কারনে খাল গর্ত কিছুই দেখা যায় না। উন্নয়নের জোয়ারে একমাত্র নৌকায় ভরসা না করে রিক্সায় উঠার শাস্তি ভোগ করতে হল। গর্তের মধ্যে রিক্সা পরে গিয়ে গঙ্গার পবিত্র পানিতে স্নান করতে হল আরেক বার। ড্রেনের পানিতে নাকানি চুবানী খেয়ে কোন মতে উঠে দাঁড়ালো। সদ্য শ্যাম্পু করা চুল হতে টপ টপ করে পানি চুয়ে চুয়ে ঠোঁটের কিনারা বেয়ে গড়িয়ে পরছে। সেই হতে যে চুল পরা শুরু হল আজ তা চান্দু স্টেডিয়ামের রুপ নিয়েছে। যাই হোক তাতেও কোন কষ্ট নেই। বিপত্তি ঘটলো মাথার উপরে দোতলায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে খিল খিল করে হাসছে হেনা। তা দেখে লজ্জায় নর্দমার কালো পানি আর তার চেহারা মিলে মিশে একাকার। অন্য কেউ হলে ঐ পানিতে ডুব দিয়ে আত্মহত্যা করে ফেলতো। তবে সে নাছরবান্দা প্রথমে লজ্জা পেলেও পরে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে আর কোন কিছুর তোয়াক্কা করে নাই। 

দুই একজন দরদী মানুষ তাকে টেনে গর্ত থেকে বার করলো। পায়ে একটু আঘাত পাওয়ার কারনে খরিয়ে খরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। ইতিমধ্যেই খবিশ পোলাপাইন ফেসবুকে ভাইরাল করে দিয়েছে তাকে। তখন থেকেই তার নাম হয়ে গেলো ভাইরাল নিপু। ভাইরাল হওয়ার পরে তার প্রেমের সমাপ্তি ঘটে। 


![images (3).jpeg](https://files.peakd.com/file/peakd-hive/steemitwork/23zbaMZu5pTuESZLgWRXjXKiN9r1Cse9kxxsbxXDF1YhigCWAnPLd2NDx7omRhkJpjCtx.jpeg)
[Source](https://www.google.com/search?q=%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0+%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0+%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF&tbm=isch&hl=en&tbs=isz:l&client=ms-android-samsung-gj-rev1&prmd=ivn&sa=X&ved=2ahUKEwjq4sPI47LyAhVIg0sFHWEFBSUQ258EegQIARAm&biw=360&bih=645#imgrc=p32PcKuMKqCoIM)